Sharadiya Charya Pujabarshiki 1431 | শারদীয়া চর্যা পূজাবার্ষিকী ১৪৩১

শারদীয়া চর্যা ১৪৩১ পড়ে শেষ করলাম। থ্রিলার এবং ননফিকশনগুলোর কথা আলাদা করে বলতে হয়, এক কথায় দারুন। রক্তিম মুখার্জি ‘গৌড় বিক্রম’.যা ঐতিহাসিক ধারার সব গুণ বজায় রেখে লেখা অসামান্য এক থ্রিলার পড়ার পরে চর্যা পাবলিশার্স এর কাছে অনুরোধ এই লেখকের ঐতিহাসিক উপন্যাস বই হিসাবে চর্যা থেকে পড়তে চাই। অমিত ঘোষের ‘মুহাফিজ’ পড়ে চমকে গেছি, ইতিহাসের সঙ্গে বাস্তবের যথাযথ মিশেল। সৌমিক পাহাড়ির ‘নীলকন্ঠ দরবারের রহস্য’ অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার, হিমবন্ত দত্তের ‘দুই এ শয়তান’, রজতশুভ্র কর্মকারের ‘মারীচ’, পিয়ালী ঘোষের ‘খোলশ’ মনে রাখার মতো। শিবাংশু দে এর লেখা ‘বুদ্ধ এক অভিরূপ অডিসি’ আমার এবছরে পূজাবার্ষিকীতে পড়া শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ। শারদীয়া চর্যা প্রথম বছরই ছাপ ফেলতে সক্ষম।

প্রবন্ধগুলো প্রত্যেকটা উচ্চমানের ও বিষয়বৈচিত্র্যে ভরপুর। বুদ্ধদেব থেকে জঙ্গলমহলের দেবতা, পুরুলিয়ায় অস্ত্র বর্ষণ থেকে কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল, সর্বোপরি অস্ত্র বিষয়ক নাতিদীর্ঘ নিবন্ধ। এছাড়া যেটি খুব ভালো লেগেছে ঐতিহাসিক এবং অলৌকিক গল্পগুলি। শারদীয়াটি ভীষণ গোছানো, ছবিগুলো খুবই ভালো। দাম পাতার সংখ্য এবং পেজ কোয়ালিটির তুলনায় অনেক কম। প্রথম বছরই চর্যা মাত করে দিয়েছে।

থ্রিলারগুলো অসামান্য। ‘মার্ডার অ্যাট হোটেল রিগেল’ দ্বীপচক্রের খুব ভালো লেগেছে। সীতম চক্রবর্তীর ‘অপারেশন প্রাইম মিনিস্টার ‘ দারুন। এছাড়া সুর, সপ্তরথী, খোলশ, এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি, মারীচ, প্রেম, মেঘ মহলের বাড়ি, আঁধার রাতের বাঁশি বেশ ভালো।